নানুরে পচাগলা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য, নিখোঁজ নাবালিকার পরিচয়ের সন্দেহ – ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ প্রশাসনের

নানুরে পচাগলা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য, নিখোঁজ নাবালিকার পরিচয়ের সন্দেহ – ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ প্রশাসনের

রোহিত শেখ: নানুর: বীরভূম:- বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত পাপুড়ি গ্রামে উদ্ধার হল একটি পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনাস্থল আল আমিন মিশনের কিছুটা দূরে একটি মাঠ। দেহটি পচে যাওয়ায় চেহারা ও শরীর দেখে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই মৃতদেহটি যে ১৯ জুলাই থেকে নিখোঁজ থাকা খালা গ্রামের এক নাবালিকার, সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ ও পরিবার।

জানা গেছে, নিখোঁজ ওই নাবালিকার পরিবার ইতিমধ্যেই নানুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা শনাক্তকরণের জন্য ঘটনাস্থলে যান। তারা দাবি করেন, মৃতদেহের গায়ে থাকা উড়না দেখে মেয়েটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পচনের কারণে চূড়ান্তভাবে শনাক্তকরণ করা যায়নি। তাই ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শনিবার নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় বড় কোনও চক্রান্ত লুকিয়ে আছে বলেই মনে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি, তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এটি পচা গলা মৃতদেহটি ওই নাবালিকার হয় তাহলে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হচ্ছে।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে নানুর থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নানুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, “ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই চূড়ান্তভাবে বোঝা যাবে মৃতদেহটি কার। সবদিক থেকে তদন্ত চালানো হচ্ছে।” এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী উঠে আসে এবং প্রশাসন কত দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )