৩০০ বছর ধরে নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে সাটিনন্দীর পাঁজা পরিবার

৩০০ বছর ধরে নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে সাটিনন্দীর পাঁজা পরিবার

অঙ্কিতা চ্যাটার্জ্জী: পূর্ব বর্ধমান:-

শত পরিবর্তনের মাঝেও প্রায় ৩০০ বছরে ধরে নিজেদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসীর সাটিনন্দী গ্রামের পাঁজা পরিবারের উত্তর পুরুষরা। অতীত ঐতিহ্যের প্রকৃত ধারক ও বাহক হিসেবে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। গ্রামবাসীদের মতে – দিন বদলায়, পরিবারের সদস্য বদলায় কিন্তু জমিদার পরিবার হিসাবে পাঁজা পরিবারের অতীত ঐতিহ্য একই থেকে যায়। 

 প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামের বনেদি পরিবার পাঁজাদের হাত ধরে রীতি মেনে শুরু হয় দুর্গাপুজো। গ্রামের মধ্যে বয়ে যায় খুশির উৎসাহ। পাঁজা পরিবারের সৌজন্যে উৎসব হয়ে ওঠে সবার। কালের নিয়মে স্বাভাবিক ভাবেই আগের জাঁকজমক অনেকটা কমলেও উদ্দীপনা কিন্তু এখনো বজায় আছে। কর্মসূত্রে রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি বিদেশে, ছড়িয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা পুজোর সময় হাজির হন নিজ গ্রামে। দুর্গোৎসবে সময় অতীতের মত নবীন-প্রবীণের মিলিত সমাবেশ আজও দেখা যায়। পাশাপাশি আনন্দ করতে দেখা যায় জমিদার ও তাদের কর্মচারীদের। পুজোর সময় থাকেনা কোনো ভেদাভেদ। সবাই ফিরে যায় অতীতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সত্যিই এএক বিরল দৃশ্য।

খাতায় কলমে পুজোটা পাঁজা বাড়ির হলেও কখন যে সেটা গোটা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের হয়ে উঠেছে কেউ জানেনা। তাইতো আজও পুজোর সময় সবাইকেই বিনা সংকোচে আনন্দে মেতে উঠতে, পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়

পাঁজা পরিবারের অন্যতম সদস্য শান্তনু  পাঁজা বললেন- পুজোটা আমাদের কাছে নিছক  একটা পুজো নয়, পরিবারের মিলনোৎসব। কর্মসূত্রে আমাদের পরিবারের  অনেক সদস্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। কিন্তু এই পুজোর সময় সবাই মায়ের টানে এবং পরিবারের সঙ্গে একটু আনন্দ পেতে এসে উপস্থিত হন এই গ্রামে। বছরের এই একবারই আমরা সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাই। তিনি আরও বললেন পেশাগত কারণে আমি বর্ধমান শহরে থাকি। বছরের বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যাই। কিন্তু পুজোর সময় মন গ্রামের জন্য ছটফট করে। সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাই। সত্যিই সে এক আলাদা আনন্দ।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )