রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে মেতে উঠল মেমারির ‘আবৃত্তির পাঠশালা’-র শিক্ষার্থীরা

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে মেতে উঠল মেমারির ‘আবৃত্তির পাঠশালা’-র শিক্ষার্থীরা

নীহারিকা মুখার্জ্জী, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান:- যেকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অঙ্গ হলো নৃত্য, সঙ্গীত ও আবৃত্তি পাঠ। এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী পালন কার্যত 'গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো'-র মত। তিনি আমাদের জন্য অসংখ্য সঙ্গীত ও কবিতা লিখে গেছেন। তাঁর সঙ্গীতকে উপজীব্য করে প্রদর্শিত নৃত্য আজও মানুষকে মুগ্ধ করে। তারই এক ঝলক নমুনা দেখা গেল মেমারির 'আবৃত্তির পাঠশালা'-র শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিবেশিত অনুষ্ঠান। গত ৮ ই মে বৈকাল ৫ টা নাগাদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে মেমারির 'উদয়ণ ক্লাব' প্রাঙ্গণে পালিত হয় রবীন্দ্রনাথের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিবেশিত নৃত্য, সঙ্গীত ও আবৃত্তি পাঠ উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি সাজানো থাকায় অনুষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে হলেও কখনোই দর্শকদের বিরক্তি উৎপাদন করেনি। উল্টে হাততালি দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী তথা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ব্রততী ঘোষ আলি। প্রসঙ্গত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে 'আবৃত্তির পাঠশালা'-র শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত আবৃত্তি পাঠ ইতিমধ্যে মেমারি সহ আশেপাশের এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের মুগ্ধ করেছে। ব্রততী দেবী বলেন - সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে রবীন্দ্রনাথ নিজেই হলেন বিশাল বটবৃক্ষ স্বরূপ প্রতিষ্ঠান। তিনি সব সাজিয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদের কাজ সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। আমরা তাঁর দেওয়া উপাচার ব্যবহার করে এবং সীমিত সামর্থ্য নিয়ে তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে তাঁর জন্মদিনটি পালন করেছি। পাশে পেয়েছি সহৃদয় মানুষের উৎসাহ।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )