
প্রচারের শেষ লগ্নেও ১৬টি গ্রাম ঘুরলেন চ্যাম্পিয়ন লক্ষ নরেন
সংবাদদাতা: পাণ্ডবেশ্বর:-
চোয়াল শক্ত করে প্রথম দিনই যে চ্যালেঞ্জটা তিনি নিয়েছিলেন,নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্ন পর্যন্ত সেই লক্ষ্যতেই অবিচল থেকেছেন এ মহাযুদ্ধের সেনাপতি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে যে গুরু দায়িত্ব তিনি কাঁধে নিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রম আর জনসংযোগের মেলবন্ধনে তার পূর্ণতা প্রাপ্তির লক্ষ্যেই ছুটে চলেছেন নিরন্তর।তিনি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মানুষটার উপর চোখ বুঁজে ভরসা করতে পারেন, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর উপর রয়েছে দুজনেরই অগাধ আস্থা।আসানসোলের উপনির্বাচনে এই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা থেকেই তৃণমূল পেয়েছিল প্রায় এক লক্ষ ভোটের লীড।সেই থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘লক্ষ নরেন’ নামেই ডাকেন। শনিবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তেও তিনি কোথাও পায়ে হেঁটে, কোথাও গাড়িতে চেপে ঘুরলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার ১৬ টি গ্রাম। কথা বললেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। সারা বছর এই মানুষগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, তাই তাঁদের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য নাড়ির টানে জড়িয়ে পড়েছেন।এদিন সকাল থেকে নরেন্দ্রনাথ বাবু পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অধীন কাঁটাবেড়িয়া,কৈলাশপুর,প্রতাপ পুর, দান্য, মহাল, আমদহি, বড়গড়িয়া, ধবনি, লবনাপাড়া,জগন্নাথপুর,লাউদোহা, কালীনগর, গোপডাঙ্গা, পাণ্ডবেশ্বর,কুমারডিহি ও নাচন এই ১৬ টি গ্রামের মানুষের সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। অনেকেই ছোটখাটো সমস্যার কথা তুলে ধরেন নরেন বাবুর কাছে, তোলেন ছোটখাটোঅভিযোগ, অনুযোগও। নির্বাচন মিটে গেলেই তাঁদের সকলেরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিলেন বিধায়ক। এদিন দলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক ছাড়াও তাঁর সঙ্গে শেষ লগ্নের প্রচার মঞ্চে দেখা যায় টলিউড তারকা অলিভিয়া সরকারকে।আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ের ব্যবধান ২০২২ সালের উপনির্বাচনের ফলাফলকেও ছাপিয়ে যাবে, এই দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গেই শেষ করলেন প্রচার।