
কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তি- আসানসোলে পদযাত্রা
রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:- 'ভূস্বর্গ' কাশ্মীরকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বারবার ভারতে হানা দিয়েছে এবং দিনের শেষে ভারতের বীর সেনাবাহিনীর কাছ নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত লাহোর ঘোষণাকে অমর্যাদা করে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে লাদাখের উত্তর কার্গিল জেলার পাহাড়ের চূড়ায় অনুপ্রবেশ করে।
লক্ষ্য ছিল কাশ্মীর ও লাদাখের মধ্যে সংযোগ ছিন্ন করা এবং ভারতীয় বাহিনীকে সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সরিয়ে আনা। খবর পেয়েই নিজেদের দেশের সম্মান রক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর যোদ্ধারা। শুরু হয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কার্গিল যুদ্ধ নামে পরিচিত। ভারতের সেনাদের অসম সাহসী লড়াইয়ের কাছে হার মেনে পিছু হঠতে বাধ্য হয় তারা। ২৬ শে জুলাই দখলিকৃত পাহাড়ের চূড়া থেকে পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করে ভারতীয় বাহিনী। তারপর থেকে এই দিনটি 'কার্গিল দিবস' হিসাবে পালন করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আসানসোলের এক্স সার্ভিস ম্যান অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
পদযাত্রা শুরু হয় অ্যাসোসিয়েশনের অফিস থেকে গ্যালাক্সি মল পর্যন্ত। শহীদদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, সম্পাদক অনুপ দে, সদস্য
প্রদীপ মুখার্জী, বাণিব্রত মালিক, পুলক চক্রবর্তী, সুব্রত হেস, অভিজিৎ সরকার সহ
ভূতপূর্ব সৈনিক পরিবারের সদস্যরা এবং বহু সাধারণ মানুষ। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনুপ দে বলেন- ১৯৯৯ সালের মে মাসে পাকিস্তানের আতঙ্কবাদী গোষ্ঠী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কার্গিল, দ্রাস, বাটালিক সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দখল নেওয়ার চক্রান্ত করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী অসম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে জুলাই মাস নাগাদ এই চক্রান্ত বিচ্ছিন্ন করে পুনরায় ওইসব স্থান দখল নেয়। এই লড়াইয়ে ৫৫০ জন ভারতীয় সৈনিক আত্মবলিদান দিয়ে দেশের হৃত সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। আমরা সকল দেশবাসীর সঙ্গে ওই সকল শহীদ সৈনিকদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২৬ শে জুলাই দিনটিকে 'বিজয় দিবস' হিসাবে পালন করি এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করি।