
ও মেয়ে
জয়া সান্যাল (কলকাতা)
ও মেয়ে, তুই কেন জন্ম নিলি
সেদিন আঁতুড়ঘরে মমতার কে সুখে ভাসালি?
কেন তুই শিক্ষিত হলি,কেন তুই নিজের জগত গড়লি?
তোর জন্য বরাদ্দ ছিল একটা রাতের আঁধার
হায়না যেখানে ওৎপেতে ছিল
ধরবে বলে শিকার।
ও মেয়ে,কেনই বা তুই মাতৃত্বের স্বাদ নিয়ে জন্ম দিলি কাঁটা গাছ,কেনই বা লালন করলি বিষবৃক্ষ?
কোনো কি খামতি ছিল তোর পরবরিশে?
এক গর্ভ কেড়ে নেয় কি করে আর এক গর্ভ?
লালসার কামাগ্নি তে ষড়রীপুর আজ নিয়ন্ত্রণাধীন
হায়নার ক্ষুধা রক্তের নেশায় উন্মত্ত, পৈশাচিকতার অধীন।
আঁতুড়ঘরের অন্ধকারে জন্ম নিচ্ছে শত শত বিষ বৃক্ষের চারা
বিষাক্ত করছে অক্সিজেন হবসের উল্লাসে আত্মহারা।
ও মেয়ে তুই মা হয়েছিলি যেদিন, মমতার সুখে বুকে আগলে পাঁজর
পান করিয়েছিলি তোর অমৃত সুধা
তবে তা কেমনে গরল হলো ?
শিক্ষা, দীক্ষা, সংস্কার সব গেল আজ জলাঞ্জলি
তোর আঁচলে রক্তের দাগ
বিষ বৃক্ষের অঞ্জলী।
গজিয়ে ওঠা পার্থেনিয়াম বিষাক্ত করছে অক্সিজেন
দমবন্ধ হচ্ছে ক্রমশঃ
কষ্ক হয় শ্বাস নিতে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসে না কোন আঁচল
দূর্যোধন, দুঃশাসনের জবাব নেই
বিষাক্ত করছে ধরাতল।
লাগুক না আঁচলে রক্তের দাগ
ও মেয়ে, তুই আয় না ছুটে খড়্গ হাতে
মমতার কান্না কে লুকিয়ে রেখে
রণচণ্ডী হয়ে
অসুর সংহারে তে।
ও মেয়ে, তুই জেগে ওঠ দুষ্টেরে কর না বধ
তবেই তো তুই মা হয়ে
রক্ষা করবি জগত সংসার।