বাঘমারি ইসলামীয়া হাই মাদ্রাসার পক্ষ থেকে শিক্ষকের  বিষাদের সুরে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

বাঘমারি ইসলামীয়া হাই মাদ্রাসার পক্ষ থেকে শিক্ষকের  বিষাদের সুরে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

বাইজিদ মণ্ডল: জয়নগর:– বিদায় মানে সব ভুলে যাওয়া নয়, বরং বিদায় মানে অতীত স্মৃতি মনে রেখে বেঁচে থাকার শুরু। বাঘমারি ইসলামীয়া হাই মাদ্রাসার শিক্ষক,শিক্ষিকা,শিক্ষাকর্মী ও সকল ছাত্র ছাত্রীদের আয়োজনে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অশ্রুসিক্ত ভরাক্রান্ত মনে বিষাদি সুরের শিক্ষক আব্দুর রউফ লস্করের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রী সহ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব এর পক্ষ থেকে সারক দিয়ে সম্মাননার পাশাপাশি বিভিন্ন গিফট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। শিক্ষক আব্দুর রউফ লস্করের ৩৭ বছরের শিক্ষক জীবনের অবসর নেওয়া বা বিদায়ী বছর হিসাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয় এদিন। এখানে বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা রত্ন পুরষ্কার প্রাপ্ত মফাক্কের হোসেন, বাঘমারী ইসলামীয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব,পরিচালনা কমিটির সম্পাদক হাসান সরদার, শিক্ষিকা সাবেরা খানম, এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালন করেন জেলা পরিষদের সদস্য জিয়ারুল হক খান সহ সকল প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব ওনার অক্লান্ত পরিশ্রমে এদিন দুপুর ১২ টার সময় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এই হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি কারি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক কে সংবর্ধনা দেন, তারপর সকল শিক্ষক ও কিছু কিছু শিক্ষার্থী, একে একে এই বিদায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও সভার শেষে অবসর জীবনে পদার্পণ কারী শিক্ষক এর হাতে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক জানান নক্ষত্র স্বরূপ এই শিক্ষক সুদীর্ঘ বছর এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ফলে ওনার বিদায় অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বর্তমান পাঠরত ছাত্র-ছাত্রী নয় বিগত ১৯ বছরের পুরনো ছাত্র-ছাত্রী ও সহ কর্মী তথা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। আর এর থেকে বোঝা যায় যে, শিক্ষকতার জীবন তাঁদের কতটা উজ্জ্বল ছিল। শিক্ষকদের অনেকের মতে,উনি একজন শুধুমাত্র এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিল না ছিল এই বিদ্যালয়ের একটি স্তম্ভ। ওনাকে এইভাবে বিদায় দেওয়াটা সকলের পক্ষেই খুবই কষ্টকর। এছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরি জীবনের সময়সীমা ফুরিয়ে গেলে অবসর নিতে হবে ঠিকই, তবে শিক্ষক তোমায় আমাদের হৃদয় গহনে থেকে।
তোমাদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা, ভালোবাসা,প্রেম-প্রীতি ও সন্তান স্নেহ, বিগত ১৯ বছরেও ভুলিনি আগামীতেও ভুলবো না।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )