মাতৃত্ব
মহামায়া রুদ্র (বালি, হাওড়া)

সম্পর্কের অনেক নাম আছে, অনেক রূপ আছে, যা বয়ে যায় জন্ম জন্ম ধরে এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে।
মাতৃত্বের কোমল অনুভূতি আজ ছড়িয়ে পড়েছে আমার সর্বাঙ্গে।
ছেলে, মেয়ের সাথে বসে আছি সমুদ্র তীরে।
এক আনন্দ ঘন অমোঘ প্রশান্তির চাদরে জড়িয়ে
নিয়েছি আমরা নিজেদের।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। অন্ধকার নামছে নির্জন বালুচরে।
থেকে থেকে ভেসে আসছে সমুদ্রের গর্জন।
হওয়ায় ভেসে আসছে নির্জন সন্ধ্যার এলোমেলো কিছু চাপা সুর।
শান্ত শীতল হাওয়ায় দুলে যাচ্ছে মন প্রাণ,
মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত শান্তি এসে ভর করেছে আজ আমাদের মাঝে।
ছেলে মেয়ের হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সহস্র খুশির বন্যায় ভরে আছি আজ সমুদ্রের কিনারে।
প্রকৃতির অপরূপ রূপে মুগ্ধ আমরা কজন দেখছি যেন সমুদ্রের অথৈ জলরাশির অগণিত ঢেউ ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে ।
কত প্রশ্ন জাগে মনে কত স্মৃতির প্রহর গুনতে গুনতে।
সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ঝাউবনের সারি,
হেঁটে যাচ্ছে কত কিশোর, কিশোরী তরুণ তরুণী আর তাদের ভবিষ্যত স্বপ্ন।
কথার প্রাচুর্যে ভেসে যায় আনন্দের ধারা।
আজকের পর্ব শেষ করে ফিরে গেলাম জীবনের আর এক ছন্দে , রাত্রি নিবাসে।
সূর্যদয়ের অপরূপ রূপ ডাক দিল ভোরের আকাশ।
সূর্য ওঠার বেলায় কে যেন লাল আবীর ছড়িয়ে দিল সারা আকাশ জুড়ে।
এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ভেসে গেলাম আমরা।
কলকাকলিতে সেজে উঠেছে ভোরের সমুদ্র সৈকত।
ছোটো ছোটো কত সামুদ্রিক প্রাণী আল্পনা এঁকে যাচ্ছে বালুচরে।
ছোট ছোট শঙ্খ গুলো হেটে বেড়াচ্ছে তারই মাঝে মাঝে ।
এত শান্তি হয়তো পেয়েছি আগে , তবুও আজ নতুন করে আরো ভালো লাগা।
আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ,
এই নাড়ীর টান–এই
স্নেহের বন্ধন, একেই বোধহয় সংসার বলে ,বলে মায়ার বাঁধন।
এর জন্যই যুগ যুগ ধরে চলেছে মানব যাত্রী একাল থেকে ওকাল।
সাক্ষী রইল সমুদ্র আজ মাতৃত্বের পূর্ণ সৌরভে স্নেহময় মায়ার বাঁধনে।