তুমি তো জানোই না

মৃগয়া পাণ্ডে (বাংলাদেশ)

তোমার জন্যে মাঝে মাঝে নয়
জানো!
সারাটা ক্ষণ বুক পুড়ে যায়।
প্রতি টা ঘন্টা মিনিট আর সেকেন্ড মেনে
নিয়ম করে
বুকের পাঁজর ভেঙে যায়।
দগদগে নাড়ার আগুনে নয় শুনো কাষ্ঠের আগুনের মতো
জানো তো
পুড়ে ছাই হয়ে যাই।
তুমি তো জানোই না!
পারফিউমের ব্যপিত কণার মতোন ই তো
তোমার উপস্থিতি।
ভীষণ অপ্রকাশিতের এক তীব্র ঝাঁঝালো অনুভূতি।
তুমি তো জানোই না
শ্যাতলা পড়া বুকের পাঁজরে স্যাঁতস্যাঁতে পরজীবি
সে তো তুমিই!
এককোষী ভাইরাসের মতো
ভীষণ সংক্রমণ তুমি।
আমার বুক ফাটা চৈত্রের চিড় ধরা শুনো জমিন ও তুমি
সোঁদাল গন্ধ মাখা বর্নি বাওড়ের কাদামাটি ও তুমি।
তুমি তো জানোই না
কি ভীষণ পুড়ি আমি!
খোলা আসমানের পূর্নিমার রাতের আঁধারের নিশ্বব্দের
অষ্টাদশী চাঁদ
সে তো আমিই।
তুমি তো জানোই না
বুকের ভেতরের খানাখন্দের সমস্ত টা জুড়ে
আমার অপূর্ণতা তুমি।
কৃষ্ণ বিবরের বৃহৎতায় তাতেও তুমি।
তুমি আমার আগাছার এক পূর্ণ ভূমি।
তুমি তো জানোই না
সকাল সন্ধ্যা কি ভীষণ তোমাকেই ভাবি
তুমি আমার ইচ্ছে নাটাই ঘুড়ি
লাল নীল রঙের ফ্যাসটুন তুমি।
তুমি এক দুপুরের রোদ এক বিকেলের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি।
তুমিই তো আমার যত হিজিবিজি লেখা নোট
যত হাবোল তাবোল গল্প কাব্য মন।
তুমি তো জানোই না
তোমার প্রতি আমার কি ভীষণ ঝোঁক।
তুমি আমার ভিজে শরীর জুড়ে ঘাম ঝরানো
উটকো গন্ধ
তুমিই তো আমার
ভেজা চুলের খোঁজ
ভেজা ওষ্ঠের আলপথ জুড়ে তোমারই তো বিচরণ।
তুমি আমার নাভিমূলের অবাধ্য আচরণ।
তুমি আমার নখ পালিশের আলতো রঙিন ছোঁয়া
তুমি আমার কানের কাছের ফিসফিসানি কথা।
তুমিই আমার আড়মোড়া ঘুম শীতের রাতে ওম
তুমি আমার বুকের ভেতর মুখ লুকানো মন।
তুমি তো বোঝাোই না
দ্বন্দ্ব জুড়ে অভিমানের কিসের ডামাডোল।
তুমি আমার চোখের মায়া চোখের কালো কাজল
তুমি আমার রাগ অভিমান
নকশিকাঁথার ফোঁড়
তুমি আমার এই জন্মের ভীষণ জ্বালাত।
তুমি আমার
সর্বনাশা পদ্মা নদীর পাড়
আমি তোমার সর্বনাশী জীবন ভরা তোমার।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )