
কুলটির এথোড়া রোডে দেবজ্যোতি সিং খুনের ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার: পুলিশের সাংবাদিক সম্মেলনে তদন্তের বিস্তারিত প্রকাশ
কৌশিক মুখার্জী: কুলটি:-
কুলটি থানার অন্তর্গত সীতারামপুর-এথোড়া রোডে গত ৪ জুন এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। মৃত যুবকের পরিচয় জামুরিয়া থানার নিঘার বাসিন্দা দেবজ্যোতি সিং (২৩) হিসেবে শনাক্ত হয়। এই ঘটনায় পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্তে অগ্রগতি হিসেবে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।আজ, ১৪ জুলাই, দুপুর ১২টায় কুলটি ডিসি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনার তদন্তের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিসি (ওয়েস্ট) সন্দীপ কররা। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এসিপি কুলটি এস কে জাভেদ হোসেন, কুলটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু দত্ত, নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অখিল মুখার্জি এবং তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসার বিনয় দাস।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের শুরুতে গত ১২ জুন পাম্মি শর্মা নামে এক যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সিডিআর বিশ্লেষণ এবং সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দীর্ঘ জেরার পর গত ১১ জুলাই রাহুল মাঝি (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাহুলের বাড়ি সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর এলাকায়। তাকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতিতে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।ডিসি সন্দীপ কররা জানান, তদন্ত এখনও চলছে এবং ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই নৃশংস খুনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং তদন্তের অগ্রগতি এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে। তবে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রহস্য উন্মোচনের জন্য সবাই অপেক্ষায় রয়েছে।