কার মিলন চাহ বিরহী

মৌসুমী মুখার্জী (খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর)

তুমি বললে আগুন রঙে সাজো, কমলিকা,
আমি সাজতে চেয়েছিলাম, কৃষ্ণচূড়ার রঙে,
সাজের অনুষঙ্গ চাইতে চাইতে,
তুমি চলে গেলে অজানায়,
ধুলায় লুটালো সাজ।
আগুন রাঙা সাজ… এখন আগুন পাখি,
ঝলসে গেলো, ডানায় সন্ধ্যার পাখসাট।

তুমি বললে, এসো সমুদ্রে বুকে নামি,
পারাবার প্রিয় আমার,তুমি তো জানতে,
হাত ধরতে গিয়ে পিছলে গেল হাত
আমি সমুদ্রের পুনিতে কবর খুঁড়ে চলি…
অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে প্রিয় সম্পদ,,
মুখ ফেরালাম, অর্ণবে মন জলাঞ্জলি।

বসন্ত এসেছিল সময়ে, তবু দিলো না সাথ,
বিসমিল্লা সানাই বিষাক্ত করুণ…অবসাদ,
প্রজাপতি সুখ ক্ষণস্থায়ী, যবনিকা পতন,
পলাশ শিমুল রাঙ্গে কী আর আগের মতন !!!
বিষাক্ত দূষণে ওরাও কী পেলো অভিসম্পাত?
কিংশুক সুখে ক্ষণিকের পরবাসে পরভৃত,
ভালোবাসা খোঁজে মন, ফিনিক্স অজুহাত।

নতুন করে পথ চলা, অবসন্ন সায়াহ্নে,
জোৎস্না মাখা নেই ছাদ, নজরে পড়ে না,
চাঁদের আড়ালে একাকী নিঃস্ব ওই তারা,
পথহারা রাহীর বোঝে সে কেয়ামতের মানে।
বসন্ত বাতাসে ভেসে আসে রবীন্দ্রগান…. ক্রমশঃ সমীপে, “এমন দিনে তারে বলা যায়”,
নব বসন্তে অদূরে কোকিল ডাকে,
সুর খেলে যায় মনে,
অথচ বালিশ ভেজে শ্রাবণী কান্নায়।

বিহ্বল দৃষ্টিতে চেয়ে দেখি….
আনমনা পথিক ক্লান্ত,
আজ দুদণ্ড জিরোতে অঙ্গনে,
তোমার কাছে কী আছে গো?
—-ভালোবাসা….., মূল্য লাগে না।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )