মেঘ ও মেঘবালিকা
মৌসুমী মুখার্জী (খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর)

মেঘ বললো,
কিরে মেয়ে আমার সাথে যাবি?
ঐপাহাড়ের ঢালে, যেখানে চা চাষ করে,
সেখানেতে ছায়া হতে চাই,
আমার সঙ্গী হবি!! আয়,না তাড়াতাড়ি ।
মেঘবালিকা:
নারে মেঘ আজ যাবো না,তুই চলে যা
করিস না আর দেরি,
সংসারের মায়াজালে পড়েছি যে বেড়ি ।
মেঘ:
ঠিক আছে থাক এখন না হয় দুপুরে চল,
ওই যে হোথায়,মাটির সাথে দিগন্ত মেলায়
ভাবছি ছায়া করে ঘিরি সেথায়,
মাঠ ভরা ওই সবজিক্ষেত ভীষণ রোদে ক্লান্ত,
চলনা সেথায় তুইও তো পরিশ্রান্ত।
মেঘবালিকা:
নারে মেঘ ,হবে না যাওয়া আমার বোধহয়,
ফিরতে ফিরতে সাঁঝ যদি হয়,
আমি হবো দিকভ্রান্ত।
মেঘ:
ঠিক আছে চল রাতের বেলায়,
ওই যে নদীর চর দেখা যায়,
ভরা নদী কেমন , চাঁদের সাথে জলকেলিতে সোহাগ মাতায় ,
আলোর মালায় করছে কেমন চিক মিক।
মেঘবালিকা:
রহস্যময় চাঁদের আলা,
ঢাকবি কি তুই রুপোর থালা!
অন্ধকারের সে এক জ্বালা,
ভীষণ ভাবে দিশাহারা,
যাবো না কোথাও ,করেছি আমি ঠিক।
মেঘ:
চলনা কেন কাক ভোরেতে সপ্তসাগর পার,
দুজনে তে জুটি বেঁধে পাতব সংসার।
মেঘবালিকা:
মেঘ রে আমি যাবো না ছেড়ে আমার এ সংসার।
মেঘ:
থাক তবে তুই যাস না কোথাও,
মন যদি চায় ডাকিস আমায়।
মেঘবালিকা:
আসিস না ফিরে মেঘ তুই আর,
কিছুতেই যাওয়া হবেই না আমার,
ভয় হয় তাও, সর্বনাশী মন যদি চায়।
আমার যে দিন গেছে অবসানে চৈত্র মাসের শেষে,
ফিরে যা তুই যেথায় ছিলি তোর আপন দেশে।
মেঘ:
মেঘবালিকা মেঘবালিকা করিস নে আর ছল, নানান অজুহাতে,
বৃষ্টি নামের স্বপন শুধু আমিই মাখি একাকী বর্ষা রাতে।