“মায়া –পদ্মের রাজকন্যা”
মৌসুমী মন্ডল (কলকাতা)

ঘনঘোর এক বর্ষারাতে উচাটন তার মন,
রৌদ্র কুমার স্বপ্নে পেলো আজব আমন্ত্রণ।
বহুদূরের অচিনসুরের ভেসে এলো গান,
মায়াপদ্মে আটকে আছে বৃষ্টি রানীর প্রাণ।
পদ্মফুলের পাপড়িগুলো ঝরার আগে গিয়ে,
জাগিয়ে তাকে তুলতে হবে প্রেমের পরশ দিয়ে।
বুকের ভেতর ব্যথার মোচড় ,যোজন দূরের পথ,
পাড়ি দেবে কেমন করে নেই তো পুষ্পরথ।
খবর আসে হাওয়ায় ভেসে পদ্ম যাচ্ছে ঝরে,
ক্রমাগত পাপড়ি ঝরে একটা-দুটো করে।
রৌদ্র কুমার পৌঁছে গেলো, চাঁদের ভেলায় ভেসে,
কিন্তু প্রবল হতাশ হলো পদ্মপাড়ে এসে।
একটা পাপড়ি ছিলো বাকি,কুমার আসার পরে,
দেরি হওয়ার অভিমানে সেও গেলো ঝরে।
উপচে পড়া দুঃখটাকে কি করে যে থামায়!
এমন সময় ফিসফিসিয়ে বাতাস বলে যায়……
“বারো বছর পরে আবার ফুটবে এমন ফুল,
তখন তারে ছুঁয়ে দিতে করিস নে আর ভুল।
বৃষ্টি রানীর মুক্তি আছে স্পর্শে শুধু তোর,
প্রতীক্ষাতে দিস কাটিয়ে রাতের পরে ভোর।”
“কে বা তুমি পদ্মকন্যা, তোমার মায়ায় পড়ে,
প্রতীক্ষাতে থাকবো আমি বারোটি বছর ধরে।
সেদিন তোমায় ছুঁয়ে আমার ফুটবে মুখে হাসি,
আর কিছু নয়,সেদিন শুধুই বোলো…. ভালোবাসি।”

