শ্রাবণের শেষ সোমবার
বানী পাল (জলন্ধর, পাঞ্জাব)

আমি আর আমার কর্মফল
অপরাধ নিও না প্রভু, জয় শিব শংকর
মন্দিরের পুরোহিত জিজ্ঞাসা করছিল, তোমরা শিবের ব্রত কেনো পালন করো জানো? এগারো জন মহিলার মধ্যে দশ জন উত্তর দিল স্বামীর মঙ্গল কামনায়, স্বামীর দীর্ঘায়ু লাভের জন্য অথবা মহাদেবের মত স্বামী পাওয়ার জন্য,ইত্যাদি।
একাদশ’তম নমুনাটি আমি, পন্ডিত জী জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কিছু বললেন না,কি চান আপনি?
কিছুক্ষন চুপ থেকে উত্তর দিলাম, দেখুন পন্ডিত মশাই আমার চাওয়াটা একটু অন্য রকমের।
উনি বললেন- তা কি রকম শুনি?
আমি বললাম – দেখুন বিয়ে আমার হয়ে গেছে, স্বামী আমি পেয়েই গেছি এবং তার সঠিক আয়ুকাল ভগবান লিখেই পাঠিয়েছেন।এখন বক্তব্য হচ্ছে তাহলেও আমি কেন কেনো শিব পুজো করছি।আসলে আমি ওই মাতা পার্বতীর মতো আমার ভোলেনাথটিকে কন্ট্রোলে রাখতে চাই, মানে একদম বশীকরণ রোবটের মত নিজের বশে রাখতে চাই।আমি শিব পুজো করবো,আমার শিব আমার কথা শুনবে।মানে টোটাল আমার একার রাজত্ব আর কি, বুঝলেন?দেখুন পন্ডিত মশাই, আপনার সাথে যদি সরাসরি ভগবানের কথা হয় একবার জিজ্ঞাসা করে দেখবেন তো এটা সম্ভব কিনা?আর কতগুলো সোমবার ব্রত পালন করতে হবে?
পন্ডিত মশাই প্রসাদে সকলকে দুটি করে কলা দেখালেন, মানে খেতে দিলেন।আমায় দুটি নাশপাতি দিলেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম পন্ডিত জী,তাহলে কি আমি উপোসের ফল পেয়ে গেলাম এখনই? মানে আলাদা চাওয়া আলাদা ফল….
পন্ডিত জী বললেন আপনি ধন্য মাতা…
আপনার দর্শন লাভে আমার পাণ্ডিত্য স্বার্থক
আপনার আর উপোসের আবশ্যকতা নেই,মহাদেব সব শুনে নিয়েছেন,এবার আপনি শুধু আদেশ করুন
এবার আপনারাই বলুন….
আমি কি ভুল কিছু চেয়েছি?