
সামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবের উপহার ডা:হা: বিধানসভার সকল এলাকায়
বাইজিদ মণ্ডল: ডায়মন্ড হারবার:– পুজোর গন্ধ এসেছে! আর মাত্র কয়েকটা দিন তার পর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজা । আর এই পুজোর সময় নতুন পোশাক পরতে কার না ভালো লাগে! আর যদি সেই উপহার বাড়ি বয়ে আসে। কড়া নাড়ছে তৃণমূল, বাড়িতে কেউ আছেন? দরজা খুললেই হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে উৎসবের উপহার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী তো আছেই,সেটা তো গোটা রাজ্যের জন্য। তবে এবারও কেবল মাত্র ডায়মন্ড হারবারের জন্য নির্দিষ্ট দেওয়া হল অভিষেকের উৎসবের উপহার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছরেও এই উৎসবের উপহারের ব্যবস্থা করেছিলেন। দলের সৃশ্য নেতৃত্ব রা তারা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন নির্দিষ্ট জায়গায় সকল কে দুর্গা পূজার উপহার দিয়ে ছিলেন। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন, এবার বুথের দায়িত্বে থাকা নেতা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে এই উৎসবের উপহার সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। সারা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে র পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক সামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে এই বিধানসভা কেন্দ্রের সকল জায়গার পাশাপাশি বাসুল ডাঙ্গা অঞ্চলে চাঁদা গ্রামে এই উপহার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এলেন ১৮৯ নম্বর বুথের মেম্বার এনায়েত হোসেন মোল্লা ও যুব সভাপতি মইদুল সাপুই সহ দলের স্থানীয় কর্মী সমর্থক রা। দুর্গাপুজো মানেই তার একটা সর্বজনীন রূপ রয়েছে, তবে পুজো মানেই উপহার। কিন্তু সেই উপহার কেনার মতো সামর্থ্য থাকে কতজনের! সেই কারণে এবারও উৎসবের উপহারের আয়োজন করা হয়। এবার দলের সাধারণ নেতা কর্মীরাই ডায়মন্ড হারবার এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন এই উপহার। ডায়মন্ড হারবার মডেল। এই ডায়মন্ডহারবার মডেলকে সামনে রেখে বার বারই নানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবার এর তৃতীয়বারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গোটা বাংলার জন্য নয়,কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবার এলাকার সাধারণ আমজনতা মানুষদের জন্য এই উপহার।এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন অভিষেক। এই লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ আম জনতা মানুষদের কে নিজের আত্মীয় বলেই মনে করেন তিনি। আর সেই কেন্দ্রের সর্বসাধারণের জন্য এবারও শারদীয়ার উপহার দেওয়া হয়। এদিকে যেমন করোনার সময়েও মানুষ যখন সংকটে ছিল দেখা গিয়েছিল রান্না করা খাবার দিনের পর দিন ধরে সর্বসাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।সেই সংকটের দিনে গরম খাবার পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ। এবার আনন্দের দিনেও বাড়ি বাড়ি চলে যাচ্ছে উৎসবের উপহার, মূলত সকলেই যাতে উৎসবের খুশি ভাগ করে নিতে পারেন সেই কারণেই এই উদ্যোগ।দলীয় সুত্রে খবর প্রাথমিকভাবে বিধানসভা ভিত্তিক এই উপহার দেওয়া হচ্ছে। সেই উপহারই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বুথস্তরে। কেউ যাতে উপহার থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে । এদিকে উপহার পেতে ভালোবাসেন সকলেই। কিন্তু সেই উপহার এবার ঠিক পুজোর আগেই। কেবলমাত্র ডায়মন্ড হারবারের মানুষই এই উপহার পাচ্ছেন। এটা হল ডায়মন্ডহারবার মডেলের নজির। প্রশ্ন কেনই বা উৎসবের উপহার বাড়ী বাড়ী পৌছে দিচ্ছেন। মঞ্চের উপরে নেতাদের কাছে থেকে উৎসবের উপহার নেবেন সাধারণ মানুষ অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন, সেটা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃতীয়বারের সাংসদ এর পছন্দ না। তাই স্থানীয় নেতৃত্ব দের নির্দেশ দিয়েছিলেন যদি উপহার দিতেই হয় তাহলে তা এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ী গিয়েই পৌঁছে দিতে হবে। সেই মতো সাংসদ এলাকার সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সেটাই করে দেখালেন তিনি। এমন উদ্দ্যোগে কে সাধসুবাদ জনিছেন এলাকার সাধারণ মানুষ এবং খুশি সকলে।