
জীবনের শেষ সাইরেন
শিবানী চক্রবর্তী (শ্রীরামপুর, হুগলি)
জীবনের শেষ সাইরেনের হুইলস যখন বেজে উঠবে,
ঢেকে যাবে ভোরের সূর্য উদয়ের আলোর জ্যোতি,
বন্ধ হয়ে যাবে কুহেলিয়ার মধুর ডাক,
ফুল পাপড়ি দের হেলদোলানি।
চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসবে,
দূরে সরে যাবে,
এই জন্মভূমির সমস্ত স্মৃতি মুছে যাবে।
ওই যে বৃক্ষপত্র গুলি করুন দৃষ্টিপাতে বিদায় বেলায় বলবে ফিরে এসো।
কেউ এক গোছা রজনীর
তোড়া নিয়ে এসে বলবে
তুমি যেওনা—।
কেউ হয়তো কানের কাছে এসে বলবে, আমি তোমায় ভালোবাসি।
হয়তো ওই চাঁদ তারারা দূর থেকে হাতছানি দিয়ে জানাবে স্বাগত।
শুনতে পাবো অট্টহাসির করতালির অ্যালার্ম,
ওই নির্জনের গভীরতার ঘুটঘুটে অন্ধকারে আঁকড়ে ধরছে প্রাণ।
হয়তো কেউ নিঃশব্দে চুপি চুপি পাশে এসে দাঁড়িয়ে সদ্য নেভানো
চিতা ভষ্ম দু হাতে তুলে নিয়ে করবে অশ্রু , প্লাবনে ধৌত।
শুধুই বেঁচে থেকে যাবে স্মৃতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা।
থেকে যাবে প্রেম, প্রীতি, বিবেক, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া মমতা, বুলেটের প্রতিধ্বনি।
আমি তোমাদের সবার সাথে বেঁচে আছি,
আমার মৃত্যু নেই।