
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আখের রস ও ডাবের চাহিদা
ঋষি মুখার্জী: ফাইনাল এক্সপোজার:-
বিশেষজ্ঞদের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বেপরোয়াভাবে বৃক্ষচ্ছেদন হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বৃক্ষরোপণ হয়েছে অনেক কম। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে এবছর ফেব্রুয়ারির শেষলগ্নে রাজ্যের
কোনো কোনো এলাকায় গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা ৪৩° সে. ছুঁই ছুঁই, কোথাও আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। গত দু’তিনদিন তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেলেও আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা দ্রুত তাপমাত্রা বাড়বে। দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার এবং প্রচুর জলপান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন কাজে এবং পেশাগত কারণে এই প্রবল তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। সঙ্গে পানীয় জল থাকলেও তাদের পিপাসা মেটানোর জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে আখ ও ডাব নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন একদল মানুষ।

ইতিমধ্যে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্য সড়কের একাধিক জায়গায় আখের রস ও ডাব বিক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে। এইসব রাস্তা ধরে ব্যক্তিগত বা ভাড়া গাড়িতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। যাতায়াতের পথে ক্ষণিকের অবসরে তাদের আখের রস বা ডাবের জল দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে আখের রস ও ডাবের টানে স্থানীয়রাও এইসব জায়গায় ভিড় করে।
আসানসোলের সালানপুরের বাসিন্দা রাহুল বাবু বললেন, কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে পানীয় জল নিয়ে যাই ঠিকই, সুযোগ পেলে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝে আখের রস খাই। বিটনুন সহযোগে খেতে ভালই লাগে। এতে যেমন তৃষ্ণা মেটে, তেমনি শরীরও ঠাণ্ডা থাকে।