আসানসোল পুরনিগমের উদ্যোগে পালিত হলো বিশ্ব ডেঙ্গু দিবস

আসানসোল পুরনিগমের উদ্যোগে পালিত হলো বিশ্ব ডেঙ্গু দিবস

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: আকারে ছোট হলেও অনেক সময় মশা মানুষের জীবন সংশয় করে তোলে। এজিপ্টি জাতীয় এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গু কখনো কখনো প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। প্রতিবছর প্রাক্ বর্ষা ও বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এই রোগের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করা এবং রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ১৬ ই মে দিনটি জাতীয় ডেঙ্গু দিবস হিসাবে পালন করতে শুরু করে। প্রতিবছর আলাদা আলাদা থিমকে সামনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। ২০২৫ সালের জাতীয় ডেঙ্গু দিবসের থিম হলো- তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করুন: পরিবেশ পরিষ্কার করুন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। ২০২৩ সালের ডেঙ্গুর ভয়ংকর স্মৃতিকে মাথায় রেখে গতবছর থেকেই আসানসোল পুরনিগম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবং এলাকায় যাতে কোনোরকম ডেঙ্গু তার প্রভাব বিস্তার না করতে পারে তারজন্য অর্থবহ ভূমিকা পালন করে চলেছে। যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে পালন করছে 'বিশ্ব ডেঙ্গু দিবস'। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা। একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ১৬ ই মে আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে 'বিশ্ব ডেঙ্গু দিবস' পালন করা হয়। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন - ডেঙ্গুর বাহক হলো এডিস মশা। এই মশাগুলি দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে। যেখানে মশার প্রকোপ বেশি সেখানে দিনের বেলায় মশারি ব্যবহার করার জন্য তারা পরামর্শ দেন। বাড়িতে কোথাও যাতে জল জমে না থাকে ও বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দিতে বলা হয়। উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, জয়েন্ট এবং পেশীতে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ২০২৩ সালে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য সেদিন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল এবং গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রায় শূন্য ছিল পুরনিগমের পক্ষ থেকে সেই ১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়,পুর কমিশনার রাজু মিশ্র, পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা। মেয়র বলেন - ২০২৩ সালে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু ভয়ংকর আকার ধারণ করে। পুরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মী ও আধিকারিকদের চেষ্টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে। তাদের জন্যই গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রায় ছিলনা। এই বছর আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শুন্যে নামিয়ে আনা। তাই আমরা এলাকাবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের পুরস্কৃত করার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )