আসানসোলে ভূমিধসের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মাটি ফেটে যাওয়ায় আতঙ্কে কালীপাহাড়ির মানুষ

আসানসোলে ভূমিধসের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মাটি ফেটে যাওয়ায় আতঙ্কে কালীপাহাড়ির মানুষ

কৌশিক মুখার্জী: আসানসোল:-

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কালীপাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের রেশ কাটতে না কাটতেই আজ ভোর ৪টার দিকে এক বিকট বিস্ফোরণে মাটি ফেটে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কালীপাহাড়ির দুর্গা মন্দির এলাকায় এই বিস্ফোরণের ফলে মাটিতে প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের গভীর ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, যা দেখে এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। নিরাপত্তাহীনতার ছায়ায় আচ্ছন্ন এলাকাবাসী এখন প্রশাসনের কাছে নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি জানাচ্ছেন।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা তাদের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (ইসিএল) কর্তৃপক্ষ ভূগর্ভস্থ কয়লা খননের পর খনি সঠিকভাবে পূরণ না করায় এলাকায় প্রতিনিয়ত ভূমিধস ও এই ধরনের বিপজ্জনক ঘটনা ঘটছে। ফলে তাদের জীবন এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে। এক বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা প্রতি মুহূর্তে ভয়ে বাঁচছি। কখন মাটি ধসে পড়বে বা আরেকটি বিস্ফোরণ হবে, তা আমরা জানি না। আমাদের পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।”ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ফাটলের কারণ অনুসন্ধানের জন্য এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, যা বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।কালীপাহাড়ির এই ঘটনা এলাকার দীর্ঘদিনের পরিবেশগত ও নিরাপত্তা সংকটকে সামনে এনেছে। বাসিন্দারা দাবি করছেন, ইসিএল-এর অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এই বিপর্যয় বারবার ঘটছে। তারা অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের আশ্বাস চাইছেন, যাতে তাদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এই ঘটনা কেবল কালীপাহাড়ির নয়, বরং খনি-নির্ভর এলাকাগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা। প্রশাসন ও ইসিএল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন সকলের নজরে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )