শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠে তারুণ্যের উন্মাদনা: পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলের আনন্দঘন প্রতিযোগিতা

শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠে তারুণ্যের উন্মাদনা: পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলের আনন্দঘন প্রতিযোগিতা

ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি – পড়াশোনার নীরস রুটিন ভেঙে শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ আবারও মেতে উঠলো ফুটবল উন্মাদনায়। বুধবার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃশ্রেণী ফুটবল প্রতিযোগিতার জমজমাট ফাইনাল। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম – এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছিল এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সন্দীপ বোস জানান, এই আন্তঃশ্রেণী ফুটবল প্রতিযোগিতা বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের একটি ঐতিহ্যবাহী ও অত্যন্ত জনপ্রিয় আয়োজন। প্রতিবারই ছাত্ররা এই ইভেন্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। এই প্রতিযোগিতা মূলত দুটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত – জুনিয়র বিভাগ, যেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়, এবং সিনিয়র বিভাগ, যা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

এবারের প্রতিযোগিতায় জুনিয়র বিভাগে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়ে সেভেন-সি (VII-C) দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। টানটান উত্তেজনায় ভরা ফাইনালে তারা এইট-বি (VIII-B) দলকে পরাজিত করে রানার্সআপের শিরোপা ছিনিয়ে নেয়। অন্যদিকে, সিনিয়র বিভাগে নিজেদের ফুটবল নৈপুণ্য প্রমাণ করে দ্বাদশ কলা (XII – Arts) বিভাগের ছাত্ররা চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনালে তাদের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা জানায় নাইন-এ (IX-A) দল, যারা রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকে।

প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগে এই ফুটবল মহোৎসবের সূচনা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিভিন্ন পর্যায়ের খেলাগুলো সম্পন্ন করে। অবশেষে, এদিন চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হলো এক আনন্দঘন পরিবেশে। সন্দীপবাবু আরও জানান, পুরো প্রতিযোগিতাটি অত্যন্ত সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজকের দিনটি বিদ্যালয়ের সকলের কাছে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ী দলগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি আকর্ষণীয় রানিং ট্রফি প্রদান করা হয়, যা বিদ্যালয়ের গর্ব হিসেবে সযত্নে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়াও, সেরা খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে ব্যক্তিগতভাবে দুটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়, যা বিজয়ী শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে নিজেদের সংগ্রহে রাখতে পারবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় এমন নিয়মিত আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও শৃঙ্খলার ধারণা গড়ে তুলতে সাহায্য করে বলে মনে করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )