আসানসোলে ছিনতাই কাণ্ডে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে

আসানসোলে ছিনতাই কাণ্ডে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: প্রকাশ্য দিবালোকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিয়ামতপুরের আটা-চাল ব্যবসায়ী রাকেশ জুলানিয়ার কর্মচারীদের কাছ থেকে ১১ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করা হলেও ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সারওয়ান মণ্ডলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় এলাকায় রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে উঠেছে এবং বিরোধীরা তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রাহুল বার্নওয়াল, অভিষেক প্রসাদ, সারওয়ান মণ্ডল ও দীপঙ্কর বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে আসানসোলের কাঁকড়শোল এলাকা থেকে রাহুল ও অভিষেককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, বাইক এবং ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এদেরকে জেরা করে কুলটির নিয়ামতপুর থেকে সারওয়ান ও সীতারামপুর থেকে দীপঙ্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাই হওয়া বাকি অর্থ উদ্ধারের জন্য তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, জামুড়িয়ার একটি খুনের ঘটনার সঙ্গে অভিষেক যুক্ত থাকলেও বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে পুরনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত দাবি করেন, বছর দেড় দুই আগেই সারওয়ানকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা বিরোধীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের নেতা প্রসেনজিৎ পুঁইতন্ডী বলেন- তৃণমূলের ছত্রছায়ায় এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে।সারওয়ানের মতো ব্যক্তিরা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালাচ্ছে, আর দল তাদের আড়াল করছে। তার দাবি, বাংলার মানুষ ‘চোর মানে তৃণমূল’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ২০২৬-এ রায় দেবে। এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যবসায়ী বললেন- পুলিশের তৎপরতায় অপরাধী ধরা পড়ছে ঠিকই, কিন্তু এই ঘটনায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। অন্যদিকে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য - এইভাবে যদি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা কোথায় যাব? রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরকে দোষারোপ করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু সমাধানের পথ দেখাচ্ছেনা। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )