অনন্ত ভালোবাসায়
প্রবীর কুমার চৌধুরী (কলকাতা)

তোর সাথে তো বহুদিন কোন সম্পর্ক নেই
তবু কেন গোপনে পুতুলের সংসার সাজাই।
অবচেতন মনে বিন্দু, বিন্দু গাঢ়তম-
রক্তমাংসের আকর্ষণ,অবচেতনে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে আকাশে উঠি।
জানালায় পর্দা ওড়ায় প্রেমিক দক্ষিণা হওয়া –
চুপি চুপি কথা বলে মনবিছানায় জ্যোৎস্না। কারা এসে কান্না ছড়ায়?
মৃত্যুর মরুবাগানে ত্রাসে ছোঁয়া তোর অবয়ব-
আমার একাকিত্বের বুকে এসে জমি দখল করে।
নিষ্প্রদীপ রাতে মোম গলে, গলে তীব্র ঘৃণায় আছড়ে।
নিশ্ছিদ্র, জটিল আবরণ ভেদ করেও
তুই-ই সেবন্তী –
উত্তাল হোস জনসমুদ্রে, মিথ্যার সুনামিতে ভাসে মানুষ,
মিথ্যা আর সত্যে গুলিয়ে পথ হারায় বিষন্ন আগমনী।
স্বপ্নের আস্তারণ ভেদ করে তবুও ফুটে ওঠে অস্ফুট আলোক বিন্দু,
সকালগুলো বিশ্বাস মুঠোভরে তোর পিছু,পিছু চলে
নষ্ট দুপুরে সুতীক্ষ্ণ ক্যাকটাসের কাঁটায়, কাঁটায় ক্ষত – বিক্ষত শিশির বিন্দু।
মৌন গোধূলি দাঁড়িয়ে বালুকা বেলার ধুসরতায়।
সামনে প্রসারিত নির্ভিক মুক্তধারায় যাদের অবগাহন-
তারাই যেন নির্ভীক এক আশ্চর্য প্রদীপ জ্বালায় মরুদ্যানে।
আমি আপন থেকে আপনার হওয়ার সুপ্ত অনন্ত ইচ্ছায়
বার্তা বয়ে ঘরে ফিরি, এক দুর্দম বাসনায়…
সাদা অর্কিডের কফিনে রক্ষিত তোর অবয়ব,আমি কি এখনও ভালোবাসি ?

