
পুজোর পরে রাজনীতির আঙিনায় বিজয়া সম্মিলনীর গুরুত্ব অনেক,বিজেপির দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে বারাবনির জামগ্রামের বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকে গর্জে উঠলেন শশী পাঁজা”
কাজল মিত্র: বারাবনি:- ভোটের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বন্দ্ব ভুলে একজোট হয়ে চলার বার্তা দিলেন শিশু ও মহিলা কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা ,। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মোলানি অনুষ্ঠান সেই মতো মঙ্গলবার 14 ই অক্টোবর বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত বারাবনি ও চিত্তরঞ্জন ব্লকের দুটি জায়গায় অনুষ্ঠিত হলো বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান
আর এই দিন দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা মহাশয়া একই সাথে উপস্থিত ছিলেন বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় মহাশয়।
এদিন সর্বপ্রথম জামগ্রাম পঞ্চায়েতের জামগ্রাম কমিটি হলে অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে শিশু ও মহিলা কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা এসে স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে ও প্রদীপ উজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন এর আগেই সুন্দর সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি চলছিল ।
এদিন এই বিজয় সম্মেলনি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবী ও নাগরিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।
এদিন এই অনুষ্ঠানে এসে শশী পাঞ্জা জানান ধর্ষণের ধর্ম নেই—রাজনীতি নয়, মানবতা হোক মুখ্য!
দুর্গাপুরের মর্মান্তিক গণধর্ষণকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। নারীর মর্যাদাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া সেই ঘটনার প্রতিবাদে যখন রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড়, তখন ঘটনাটিকে ঘিরে রাজনীতির আগুনে ঘি ঢালছে বিজেপি—এই অভিযোগ তুলেই সোমবার বারাবনির মাটি থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুরে গর্জে উঠলেন রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
জামগ্রামের কমিউনিটি হলে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী সরাসরি প্রশ্ন তুললেন—
“ধর্ষণ কি ধর্ম বা জাতি দেখে হয়? যে অপরাধের কোনও মানবিক পরিচয় নেই, সেখানে বিজেপি কেন ধর্ম খুঁজছে, জাতি খুঁজছে, আর রাজনৈতিক মোরক দিচ্ছে?”
মন্ত্রী আরও কটাক্ষ করে বলেন, “দুর্গাপুরের ঘটনার পর বিজেপি প্রথমে দেখল অপরাধীদের ধর্ম কী, জাতি কী, তারপর তৃণমূলকে দোষারোপ করল। কিন্তু আজ যে নামটা উঠে এসেছে—অলোক বাউরী—সে যে বিজেপিরই কর্মী, সেটা বলবে কে? এখন কি বিজেপি মুখ বন্ধ রাখবে?”

তারপরই শশী পাঁজা ক্ষোভ উগরে বলেন, “বিজেপির কাছে নারী সুরক্ষা কেবল একটি রাজনৈতিক স্লোগান। বাস্তবে এরা নারীদের সম্মান রক্ষায় বিশ্বাস করে না। সংসদে যখন আমরা ‘অপরাজিতা বিল’ আনতে চেয়েছিলাম, তখন তারাই বিরোধিতা করেছিল। আজ আবার তারাই নারীর নিরাপত্তা নিয়ে চিৎকার করছে—এ কেমন দ্বিচারিতা?”
বিজেপির উচিত রাজ্যকে অস্থির না করা, রাজনীতি না করা। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপি তদন্তের ফলাফল চায় না, চায় বিশৃঙ্খলা। বাংলাকে উত্তপ্ত করতে চায়। কিন্তু বাংলার মানুষ বোঝে—কে সত্যিকারের লড়ছে, আর কে রাজনীতি করছে।”
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, বারাবনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত সিংহ, বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কেশব রাউত সহ, সমস্ত প্রধান উপপ্রধান ও তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

