প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণ বার্ষিকী পালিত হলো চুঁচুড়ায়

প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণ বার্ষিকী পালিত হলো চুঁচুড়ায়

শুভম ঘোষ, চুঁচুড়া, হুগলী:-

          সেদিন আজকের মত যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছিলনা। তাও দুঃসংবাদটা ছড়িয়ে পড়ল বিদ্যুৎ গতিতে – বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার তাঁর লক্ষ লক্ষ সঙ্গীত প্রেমী মানুষকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।  সেদিনটা ছিল ১৯৮৭ সালের ১৩ ই অক্টোবর।শিল্পী চলে গেলেও শিল্প চলে যায়না। তিনি তাঁর সঙ্গীতের মাধ্যমে আজও অমর হয়ে আছেন সঙ্গীত প্রেমীদের হৃদয়ে। দেখতে দেখতে ৩৮ টা বছর কেটে গেলেও আজও তিনি একই রকম জনপ্রিয় থেকে গেছেন। 

         বরাবরের মত যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে এবারও অমরশিল্পীর ৩৮ তম প্রয়াণ বার্ষিকী পালন করল হুগলীর চুঁচুড়ার ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি ইউনিট’ এর সদস্যরা। সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও বহু পথচলতি সাধারণ মানুষ চুঁচুড়ার প্রতাপপুর পার্কে স্থাপিত শিল্পীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বহুমুখী প্রতিভাধর শিল্পীর বর্ণময় জীবনের বহু অজানা তথ্য তুলে ধরেন।

       সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ডা. নীলাঞ্জন পাঠক বলেন, কিশোর কুমার আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি কখনোই মরতে পারেননা।

         জানা যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বর মাসের ৬ থেকে ৯ তারিখ দিল্লিতে একটি বিরাট পথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোর প্রেমী মানুষ সেই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। যাতে প্রয়াত শিল্পী কিশোর কুমারকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মাননা প্রদান  করা হয় এবং মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় শিল্পীর পৈত্রিক বাড়িটিকে যাতে ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় তারজন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারক লিপি জমা দেওয়া হবে।

         ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি ইউনিট’-এর সম্পাদক সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, কিশোর কুমার বাঙালি তথা সমগ্র ভারতবাসীর গর্ব। তার নশ্বর দেহ পার্থিব জগতের মায়া ত্যাগ করলেও যতদিন পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকবে, পৃথিবীতে সঙ্গীত থাকবে ততদিন তিনি সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সঙ্গীত প্রেমী মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবেন ।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )