
বারাবনিতে বিজেপির কর্মী সভায় উত্তেজনা, সংবাদ মাধ্যমকে বাধা
কৌশিক মুখার্জী: আসানসোল:-
বৃহস্পতিবার বারাবনিতে বিজেপির নির্বাচনী কর্মীসভায় উত্তেজনা দেখা দেয়।নিজেদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা । এদিন আসানসোলের বারাবনি বিধানসভাল বড়থানে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে এদিন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে নির্বাচনী কর্মীসভা ছিল ওই অঞ্চলের একটি বেসরকারি ম্যারেজ হলে ।অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার ঢোকা মাত্রই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই অনুষ্ঠান হলে।এমনকি নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন কর্মী সমর্থকেরা।এর পাশাপাশি টেবিল ছোড়া ছুড়িও হয়। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সংবাদ মাধ্যমকে বাধা দেওয়া হয়।এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পরে বিজেপির নেতৃত্বরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।এই ঘটনায় বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোলের মহানাগরিক বিধান উপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, বিজেপি রাজ্য জুড়ে নানা কৌশলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ইডি সিবিআই এর ভয় দেখিয়ে যেমন হেনস্থা করতে চাইছে, তেমনই জায়গায় জায়গায় নানা রকম অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলুষিত করতে চাইছে।শুধু রারাবনি নয়,খনি শিল্পাঞ্চলের জামুড়িয়াতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমা তৈরী করতে গিয়ে গতকালই বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর আজ বড়থানে নিগৃহিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। আসলে বিজেপি চাইছে এলাকাজুড়ে সন্ত্রাষের বাতাবলণ তৈরী করতে। যাতে সাধারণ মানুষ ভোট দানে বিরত থাকে ও তারা সহজেই জয়লাভ করতে পারে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়টিকে ধিক্কার জানাই। একই সাথে বলতে হয়, পশ্চিম বঙ্গের মানুষ সুশিক্ষিত। তারা সব কিছুই দেখছেন ও বুঝছেন। একই সাথে রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধাও গ্রহণ করছেন। তাই ২০২১ এ যেমন রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিজেপিকে জবাব দিয়েছিল এবারেও অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বে রাজ্যের সাধারণ মানুষ মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করবে। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী সুরন্দির সিং বলেন, ঘরে চারটে বাসন থাকলে ঠোকাঠুকি হবেই; আওয়াজও উঠবে। তার মানে অশান্তি নয়। স্থানীয় অঞ্চলের বাইরে থেকে কেও আসলে তাকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রেও আমাকে ঘিরে এই চাঞ্চল্য। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের কোনো বৈরীতা নেই। এক্ষেত্রে কর্মীদের অতি উৎসাহে চেয়ার দখলের সময় নিতান্ত ভুল বোঝাবুঝিতে অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে। তার জন্যে আমি ক্ষমা প্রার্থী। অন্যদিকে বারাবনির তৃণমূল ব্লক সভাপতি অসিত সিং বলেন, বারাবনিতে বিজেপির লোকই নেই, তারপরেও গোষ্ঠী কোন্দল। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে আক্রান্ত হতে হয়। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই। আসলে বিজেপি অশান্তির আবহ তৈরী করে নিবাচনী ফায়দা লুঠতে চাইছে।