ঝরা পাতা
সর্ণালী মন্ডল (কলকাতা)

কার্নিশ চুঁইয়ে রোদ ঢোকে
পড়ন্ত বিকেলে ,
হাজার কাজে
ভিড় করে ঝরাপাতা।
ঘাসের বুকে
শিশির সাজানো,
শিশিরকে বড্ড কাছের মনে হয়।
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় —
সারাটা সময়
ব্যস্ত পায়ে হেঁটে যাবো
রেল লাইন ধরে আদি সপ্তগ্রামের পথে !
আজকের সন্ধ্যাকে ধার রেখেছি ভিষন ইচ্ছার জিম্মায় …
কখনও চাঁদের পাশে ভেসে ওঠে অতি পরিচিত মুখ,
আড়ালে চাঁদকে লুকিয়ে
কানে কানে বলে যাবো –
তোমার রূপ জ্যোৎস্নায়
এক চুমুক চাঁদ ছোঁয়ার আনন্দ।
প্রাচীন শহরে প্রবেশ করে
জরাজীর্ণ ফটকে সম্মুখীন হতে হয় বারংবার।
একপা দু’পা অগ্রসর হতেই চোখে হারিয়ে,
মৃত হৃদয়ের ছাই পড়ে আছে।
সুন্দর রৌদ্রস্নাত দিনের প্রত্যাশায় হঠাৎই এখন
উপস্থিতির অভাবের জানান দিয়ে, ভারাক্রান্ত মনে
কালবৈশাখী মেঘাচ্ছন্ন হয়।
নব উদ্যমে পাহাড়ি ঝর্ণার মতো চলার প্রত্যয়
এগোতেই, তোমারই নিঃসঙ্গতায় হতাশ হয়ে,
দুঃখের পাথরে দিক পরিবর্তন হয়।
ভূমিকম্প এলাকার
অনিশ্চিত ভবিষ্যতে, এক চিলতে সাহস ।
একাকীত্বের কবলে অনায়াসে ব্যর্থ হই।
সাহারা মরুভূমিতেই টিকে থাকা ফনীমনসার।
দুঃসাহসে অনড় হলেই, শেষ ভরসার।
অভাবে অসাধ্য সাধন করতেও পারি।
অচলায়তন
প্রেম পূজারী হয়েও আজ, প্রতিশ্রুতি রক্ষা
করতে গিয়ে সঙ্গের অভাব।
শিরদাঁড়াহীন শীর্ণকায় মানুষের মতো
আবারও জীবনযুদ্ধে নামতে গিয়ে, শুধু আজ
শূন্যতা বরণ করি।।