মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু, গুরুতর আহত দুজন

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু, গুরুতর আহত দুজন

কৌশিক মুখার্জী: সালানপুর:-

গতকাল গভীর রাতে জাতীয় সড়ক ৪১৯-এর রূপনারায়ণপুর ও মিহিজাম কানগোইয়ের মাঝামাঝি এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী রীতেশ কুমার। তিনি বিহারের সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালক ও মালিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে এর সামনের অংশ পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে তীব্র গতিতে ছুটে চলা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বড় গাছের সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা খায়। গাড়িতে থাকা আধুনিক এয়ারব্যাগ ব্যবস্থা সক্রিয় হলেও তা চালক রীতেশ কুমারের জীবন রক্ষা করতে পারেনি। গাড়িতে রীতেশ ছাড়াও আরও দুজন আরোহী ছিলেন—মিহিজাম কানগোইয়ের বাসিন্দা সন্তোষ সিং এবং আরেকজন ব্যক্তি। দুর্ঘটনায় তারা দুজনেই গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদের জামতাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধানবাদের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড প্রতিনিধি বিজয় ভান্ডারী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ১০৮ নম্বর অ্যাম্বুলেন্সে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতে প্রায় আধ ঘণ্টা দেরি করে এবং ততক্ষণে পুলিশের জিপে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এই বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। রীতেশ কুমারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামতাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রীতেশ কুমার তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন মিহিজাম কানগোইয়ে। এই ঘটনা আবারও সড়ক নিরাপত্তা ও সচেতনতার গুরুত্বকে সামনে এনেছে। পুলিশ বারবার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করলেও, এ ধরনের দুর্ঘটনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )