পাহাড় চূড়ায় একলা আমি
শারদীয়া সান্যাল (কলকাতা)

অনেকগুলো বছর পরে ফিরে এলাম পাহাড় চূড়ার সেই মেঘের মাঠে,
পাকদণ্ডী পথ পেরিয়ে ঝর্ণা জলে মন ডুবিয়ে পৌঁছে গেলাম সে তল্লাটে…
প্রিয়তমা মেঘবালিকার খোঁজে তার রাজ্যপাটে।
নানান সব মেঘের দলে আজও চোখ কেবলই অচেনা মুখে,
আমার মতো তারাও সবাই পাল্টে গেছে সময় পলি গায়ে মেখে…
এখন দেখি অচেনা সব গর্ভবতী মেঘবালিকা আপনমনে ঘুরেফিরে
দল জুটিয়ে খুনসুটিতে পাহাড় ছুঁয়ে খেলা করে
আজকাল তাই বোধহয় বড্ড বেশি বৃষ্টি পড়ে।
বনবালিকার কাপড় ধোয়া সবুজ রঙের পাহাড়টাকে ঘিরে
সাদা,কালো, ধূসর মেঘবালিকারা জড়িয়েছে আদরে আদরে….
আর পাহাড় চূড়ায় একলা আমি, মেঘ মাখি বারেবারে।
এক পৃথিবী লিখে চলা কবিতারা দমকা হাওয়ায় হঠাৎ ওড়ে…
এত বছর পরেও তার অদেখায় অভিমানের পরত জমে গহীন ঘরে।
শুধুই আপন স্বরের প্রতিধ্বনি পাহাড় জুড়ে
একলা কবি মেঘের মাঠে আজও সেই একলাই ঘোরে…
মনকেমনের অশান্ত ঘুঘুটা হঠাৎই চিৎকার করে…
“মেঘবালিকা যতই দাও ফাঁকি, যতই কর অবহেলা…
তবু কখনো শেষ হবে না তোমার জন্য কবির রূপকথা লিখে চলা।”