১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের

১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: কাছাকাছি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বর্ধমানে। দূরত্ব ও যাতায়াতের অসুবিধার জন্য এখানকার ছেলেমেয়েরা, বিশেষ করে মেয়েরা, উচ্চ শিক্ষার জন্য খুবই সমস্যায় পড়ত। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অনেকের মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত। প্রথমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর মমতা ব্যানার্জ্জী আসানসোলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং তিনি প্রতিশ্রুতিও দেন। তার প্রতিশ্রুতি মত ২০১২ সালে আসানসোলের এসসি এসটি হোস্টেলে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক পঠন পাঠন শুরু হয়। খুশির হাওয়া বয়ে যায় শিক্ষার্থী মহলে। কলেবর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ওঠে নতুন ভবন ও বর্তমান জায়গায় স্থানান্তর ঘটে। দেখতে দেখতে ১৪ টা বছর কেটে যায়।বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা সহ সমস্ত শিক্ষাকর্মীরা। দিনটি স্মরণীয় করে তোলার জন্য মন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, মমতা ব্যানার্জ্জী যদি কোনো প্রতিশ্রুতি দেন সেটা যে তিনি রাখেন তার বড় প্রমাণ এই বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এখানে অনেক নতুন নতুন বিষয় পড়ানো হয় এবং অধ্যাপকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এরজন্য তিনি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কাছে আবেদন করেন। তারা আশা সবার প্রচেষ্টায় একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিগণিত হবে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )