হে দীনবন্ধু করুণাসিন্ধু
শ্রাবনী চক্রবর্তী (কলকাতা)

ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মিলে দেবকী নন্দন,
কংশের কারাগারেই হলো তোমার শুভ জন্মক্ষন।
প্রভু সবই তোমার লীলা, অতন্দ্র প্রহরী ময় কারাগার হোলো অচেতন,
তারই মাঝে ঝড় জল মাথায় তুমি, বাসুদেবের গোকুলে আগমন।
ফিরলেন যোগমায়া সাথে, কংশের উন্মত্ততায় হলো দৈববাণী, ভীত সন্ত্রস্ত কংশ খোঁজে কৃষ্ণ কোথায়।
তোমার আবাস হলো নন্দের আলয়,
যশোদা নন্দন নন্দলালা বলদাউ পরিবেষ্ঠিত সমগ্র
গোকুল ভরা ভালোবাসায়।
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নারায়ণ তৃতীয় সন্তান রূপে আগমন,
কোল আলো হয়ে মাতা দেবকীর করলেন
প্রতিশ্রুতি পূরণ।
শুভ জন্মাষ্টমীর পুণ্য জন্মলগ্নে ভক্তগণ করেন
বিশেষ উপাচার শশা নিবেদন,
শশা কেটে ভিন্ন করেন নারী ছেঁড়া ধন।
পঞ্চামৃত দিয়ে হয় অভিষেক বিশেষ শৃঙ্গার,
ননী মাখন মিশ্রীর ভোগ নিবেদন,
ভক্তদের ঘরে ঘরে অনুষ্ঠিত হয় নন্দোৎসব।
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন নন্দলালা,
মর্ত্য জুড়ে চলে প্রভুর লীলাখেলা ,
তোমার বিশ্বরূপ দর্শন করেন মাতা যশোদা, বিমুঢ় হতচকিত লজ্জায় কুন্ঠিত, শ্রদ্ধায় অবনত মস্তক অর্জুন।
অরাজকতা,অত্যাচার অশুভ শক্তির বিস্তার তারই
মধ্যে তোমার শুভাগমন,
পিতা মাতার বন্দীদশা করেছো মোচন,
করেছো কংশ বধ, করেছো কতো অশুভ শক্তির অবসান,
তুমি যে সখা রূপেও মহান।
ধর্ম অধর্মের যুদ্ধে ধর্মের ধ্বজা ওড়ে, কুরুক্ষেত্রের কান্ডারী তুমি, মাথা পেতে নিয়ে ছিলে মাতা গান্ধারীর যদু বংশ ধ্বংসের অভিশাপ,
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু, তুমি নারায়ণ একমেবদ্বিতীয়ম
দীনবন্ধু গিরিধারী বাঁকে বিহারী মদনমোহন….,
অষ্টোত্তরো শত নাম, বন্দনা করি তব শ্রীচরণ।