কবিতার ঘর

রাকা ভট্টাচার্য্য (কলকাতা)

মেয়েমানুষের মন মাটি ঘরে
একটা ছোট্ট প্রদীপই যথেষ্ট,
ঝড় বাদলের রাতে যেমন খুশী তাকে আগলে রাখা যায় আশা নিভতে নিভতে আবার কখনো জ্বলে উঠলে
চোখ মন দুয়েরই আলো হয়।

রূপকথার রাজপুত্রের মত ঘোড়ার ক্ষুরের ধুলো
উড়িয়ে হঠাৎ কারো আসাটা ধুলো আর বালির-ই
সঞ্চয়। যদিও একেবারে হাজার ভোল্ট ঝাড়বাতির মত
তার জ্বলে ওঠা আলোর তরঙ্গে লাল নীল ভেসে যাওয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীতে বুক জুড়ে জড়িয়ে ধরা ,চোখের দীপ্তি ঘন হলে ওষ্ঠ অধর ক্ষুরের মতনই ধারালো কামনায় কেঁপে বুক সমুদ্রের উত্তাল ওঠানামা, মুখের গ্লো, টোটাল গ্ল্যামার, এসবই একেবারে সশব্দ সায়েন্টিফিক সিস্টেম। অষ্টাদশী কিশোরীর মত আবেগী কাজলে কলঙ্ক মেখে নেওয়া সগর্ব স্বর্গীয় সুষমায়।

শুধু চলে যাওয়ায় কোনো শব্দ থাকে না। সায়েন্টিফিক, নন সায়েন্টিফিক, রূপকথা নাকি বাস্তব! কাঁচভাঙা আর্তনাদ চাপা পড়ে, কেউ শোনেনা, আলো নিভে যাওয়া কেউ দেখেনা। কেউ জানেই না আসলে গল্পটা কী যা দিয়ে আস্ত একটা কবিতা লেখা যায়!!

সবাই জানে আস্তে আস্তে মলিন থেকে মলিনতর হচ্ছে প্রদীপের আলো। একদিন অসম্ভব একটা ঝড় এলে সম্ভাবনার শীর্ণ হাত কম্পিত থরথর, নিভে যাবে কবিতার ছোট ঘর ছোট ছোট প্রেম, দুঃখ আশা চিহ্নহীন চিরতরে স্পন্দিত হৃদয়ের ভীরু স্পন্দন ভিড়ে।

CATEGORIES

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )